বানারীপাড়া উপজেলা যুবলীগ সভাপতি হচ্ছেন কে? Jubo League 50 Years | Awami Jubo League | বরিশাল জেলা

 বানারীপাড়া উপজেলা যুবলীগ সভাপতি হচ্ছেন কে


অরিজিনাল ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

বরিশাল জেলার নদী বিস্তৃত একটি উপজেলার নাম বানারীপাড়া। ১৩৪.৩০বর্গ কিলোমিটারের এ উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত হয়। শের-ই বাংলা একে ফজলুল হকসহ অসংখ্য গুনিজনের জন্মস্থান এ বানারীপাড়া উপজেলায়। সদর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক লস্কর ও মাসুদা রেজা সেরনিয়াবাদ বিউটির তিন সন্তানের মধ্যে বড় মুনতাকিম লস্কর কায়েস। আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের সেরালে সেরনিয়াবাদ পরিবারে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহন করলেও ছোট বেলা থেকে বেড়ে ওঠা বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের গাভায়। ছোট বেলা থেকেই পর উপকারী, সদালাপী ও মিষ্টিভাষী এবং অত্যান্ত মিশুক প্রকৃতির লোক কায়েস লস্কর। একসাড়া সঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেনী পাশ করার পর। সলিয়াবাকপুর ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অবিনাশী আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে ওঠেন তিনি। এরপর ১৯৯৩-৯৪ সালে তৎকালিন গঠিত সলিয়াবাকপুর ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করেন কায়েস। 


খালেদা জিয়ার দুঃশাসনের সময় ভি.পি সেন্ট্রর ক্যাডার বাহিনী কর্তৃক বি.এম কলেজে হামলার শিকার হন কায়েস যার কারনে পড়াশুনা বন্ধ করে ক্যাম্পাস ছাড়তে হয়। পরবর্তীতে উজিরপুর আলহাজ্ব বি.এন খান ডিগ্রী কলেজ থেকে স্নাতক ২য় বিভাগে উত্তীর্ন হন তিনি। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় মাষ্টার্স ২য় বিভাগে উত্তীর্ন হন। ২০০১ সালে বি.এন.পি সংসদ সদস্য শহীদুল হক জামাল কর্তৃক একাধিক মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের সাথে নির্যাতন হয়রানির শিকারসহ কারা বরন করেন। ২০০৩-২০০৪ সালে ঢাকার আওয়ামী লীগের  পার্টি অফিস থেকে বাসায় যাবার পথে জন সহযোদ্ধাসহ কায়েস লস্করকে পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন চালায় এবং ক্রস ফায়ারের হুমকি দেয় পরে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

বানারীপাড়ায় আওয়ামী লীগের কর্মসূচী করা যখন দুঃসাধ্য তখন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ আব্দুর সেরনিয়াবাত সহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট সকল শহীদদের খুনিদের ফাসির রায় কার্যকর করার লক্ষ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মানব বন্ধনে অংশগ্রহন করেন কায়েস। ২০০৬ সালে ৩রা মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটি অনুমোদিত হয় কমিটিতে বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মনোনীত হন তিনি।


খালেদা জিয়ার দুঃশাসনের সময় ৮টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভায় ছাত্রলীগকে গতিশীল আন্দোলকে বেগবান করার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সফলভাবে কমিটি গঠন করেন। ২০০৮ সালে মে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারের /১১ সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশরত্ন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৬ই জুলাই মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন সেই সময় বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগকে সংগঠিত করে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ১১ জুন মুক্তিপান এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। কায়েস  সকল জাতীয় সংসদ নির্বাচন, স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এছারাও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মাস ব্যাপী বরিশালে অবস্থান করে জননেতা সাদেক আব্দুল্লাহকে মেয়র নির্বাচিত করতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র ব্যারিষ্টার ফজলে নুর তাপস এর পক্ষে নৌকা প্রতিককে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ডেমরায় কায়েতপাড়া কেন্দ্রে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে পুলিশী হামলা মামলার শিকার হন তিনি।


কায়েস লস্করের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক পথচলায় মুগ্ধ করেছে বানারীপাড়া উপজেলার ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের সকল অংগ সংগঠনের নেতাকর্মিদের। এছারাও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন-আহবায়ক কায়েস একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও দক্ষ সংগঠক হওয়ায় বানারীপাড়া উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাসহ তৃনমুলের  সকল নেতাকর্মিদের প্রানের দাবী কায়েস লস্করকে আগামী বানারীপাড়া উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনে সভাপতির দায়িত্ব দিবে সিনিয়র নেতারা। জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবে রূপদান দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল কার্যক্রম উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বানারীপাড়া উপজেলার শাখার সভাপতি হিসেবে পদায়ন করে দলীয় কার্যক্রম গতিশীল করার সুযোগ প্রদান করবেন সিনিয়ন নেতৃবৃন্দ এমনটাই প্রত্যাশা কায়েস লস্করের।





Post a Comment (0)
Previous Post Next Post