বঙ্গবন্ধু দেশের কৃষি ব্যবস্থার গুরুত্ব উপলব্ধি করে বলেছিলেন, ‘কৃষক বাঁচলে, দেশ বাঁচবে’। এই দর্শন ধারন করে প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনাও দেশব্যাপি কৃষকদের বাঁচাতে নানামুখি উদ্যোগ গ্রহন করছেন। এরপরেও ভাল নেই বরিশালের বানারীপাড়ার প্রান্তিক কৃষক। সাম্প্রতিক বন্যা ইয়াস এবং গত বছরের বুলবুল ও আম্ফান এখানকার কৃষকদের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। বানারীপাড়ার ৮টি ইউনিয়নে ইয়াসে ৭৫০ হেক্টর, আম্ফানে ১,২০০ হেক্টর এবং বুলবুলে ১,১০০ হেক্টর ফসলি জমি ও সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। এতে প্রায় ৮,০০০ কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস। টানা দু’বছরের বন্যায় এবং বিশ্বব্যাপি করোন মহামারির ভয়াবহতার মধ্যে ক্ষতির পরিমান পুষিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় কৃষক।
ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনিয় উপকরণ, বিনামূল্যে সার বিতরণ সহ আর্থিক সহায়তা পেলে শাক-সবজি, ফসল উৎপাদনে আশার আলো দেখবেন বলে দাবি করেন অনেক কৃষক। মাঠ পর্যায়ে সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমানের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস। প্রয়োজনিয় উপকরণ, বিনামূল্যে সার বিতরণ সহ আর্থিক সহায়তা প্রদান করলে স্থানীয় কৃষক ঘুরে দাড়াতে পারবে বলে মনে করেন বানারীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতির পরিমান হিসাব করে কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গৃহীত হবে।
প্রয়োজনিয় উপকরণ, বিনামূল্যে সার বিতরণ সহ আর্থিক সহায়তা প্রদান করে কৃষি ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক।